লিয়াকত হোসেন (লিংকন): ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এলাকায় কর্মরত লোকজন পালিয়ে বাড়িতে ফিরছেন। গত দু’দিনে কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু লোক ফিরেছেন বলে জানা গেছে। এতে কাশিয়ানী উপজেলা সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরা উপজেলার কামারোল গ্রামের ছয়জনকে ‘হোম কোয়ারিন্টাইন’ নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিন্টু বিশ^াস। এতে উপজেলাবাসী চরম করোনা আতংকে রয়েছেন।
এদিকে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কাশিয়ানী উপজেলায় আসা লোকজনের তথ্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারকে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন ইউএনও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ পোষাক কারখানাসহ বিভিন্ন পেশায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে কর্মরত। কিন্তু এসব জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুর খবর আতঙ্কিত ও লকডাউনে আটকে পড়া মানুষ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্নভাবে কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে ফিরছেন।
উপজেলার চাপ্তা গ্রামের পরশ উজির জানান, উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া, চাপ্তা ও চরচাপ্তা গ্রামে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর থেকে লোকজন বাড়িতে এসে এলাকায় অবাধে ঘোরাফেরা করছে। স্থানীয়রা তাদের ঘরে থাকতে বললেও তারা তা শুনছেন না। এতে আতঙ্কিত গ্রামবাসী। এ ব্যাপার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
সমাজসেবক মুন্শী ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমিত এলাকা থেকে মানুষ দলে দলে কাশিয়ানীতে আসছে। এদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে।’
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ করোনা সংক্রমণ এলাকা থেকে লোকজন কাশিয়ানীতে প্রবেশ করছে। আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। এ ব্যাপারে সবাইকে সর্তক থাকার জন্য অনুরোধ করছি।’